সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ , ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘খুন’ হচ্ছে হাওরের নদ-নদী-খাল শান্তিগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০ আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না, প্রত্যাশা সারজিসের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পণাতীর্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ প্রস্তুতি সংস্কার সংস্কার না করে দ্রুত নির্বাচন দিন : কয়ছর এম আহমদ হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ক্যান্টনমেন্ট প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস হাসনাতের বক্তব্য ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ কৃষকদল নেতা আনিসুল হকের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন নয়, ৭১ ও ২৪ এক কাতারে রাখায় দ্বিমত বিএনপি’র নাটক ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ’ মঞ্চস্থ মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণের দাবিতে মানববন্ধন হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ : ঈদের আগে বেতন-বোনাসের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার আহ্বায়কের জামিন বরাদ্দ বাড়িয়ে অর্থ তছরুপের উদ্যোগ ৭ মাসে নিহত ১১৯, ৬ মাসে পুলিশের ওপর হামলা ২২৫ শান্তিগঞ্জে হাওরের বুকে রাস্তা চান কৃষকেরা ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ

সিলেট বিভাগে যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে ৯ শতাংশই শিশু

  • আপলোড সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ০১:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ০১:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট বিভাগে যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে ৯ শতাংশই শিশু
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: দিরাই উপজেলার রাড়ইল এলাকার মতিউর রহমানের ৬ বছর বয়সী শিশু পাবেল আহমদ। বেশ কিছুদিন ধরে হালকা জ্বরে ভুগছিল। কয়েকদিন পর ঘাড়ের মধ্যে ছোট একটি বিষফোঁড়ার মতো কিছু দেখতে পান তার মা-বাবা। এ অবস্থায় উপজেলা সদরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসক তাকে সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারের আইসিডিডিআরবি সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠান। সেখানে নমুনা পরীক্ষার পর জানা গেলো পাবেল যক্ষ্মা আক্রান্ত। সিলেট নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া রাহাত আহমদকে নিয়ে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ডটস কর্নারে আসেন বাবা আহমদ হোসেন। সেখানে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় আহমদ হোসেনের। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রাহাতের ঘাড়ের বাম পাশে একটি ফোঁড়া দেখা দেয়। প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শে টানা তিন মাস ওষুধ সেবন করলেও কোনো উন্নতি হয়নি। উল্টো বিষফোড়াটি আরও বড় হতে থাকে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে এটার (বিষফোঁড়ার) ভেতর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষার পর ডাক্তার জানান রাহাত যক্ষ্মা (গ্ল্যান্ড টিবি) আক্রান্ত। পরে ছয় মাসের ওষুধ দিয়েছেন। হাসপাতালের ডটস কর্নার থেকে বিনামূল্যে প্রতিমাসে এসে ওষুধ নেন তিনি। পাবেল ও রাহাতের মতো সিলেটে অসংখ্য শিশু এখন যক্ষ্মা আক্রান্ত। যত বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা ততো বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু যক্ষ্মাও। গত তিন বছরে সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৬৬৪ জন শিশু যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২০২২ সালে ১১৫৪ জন, ২০২৩ সালে ১৬০১ জন ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০৯ জনে। যা ওই বছর মোট যক্ষ্মা আক্রান্তের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। শুধু শিশুরাই নয়, প্রতিবছর সিলেটের বড় একটি জনগোষ্ঠী যক্ষ্মা আক্রান্ত হচ্ছে। যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি বা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স-এমডিআর) সংখ্যাও বাড়ছে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিও রয়েছেন। বিনামূল্যে পরীক্ষা-ওষুধ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ ও মাইকিং করে প্রচারণার পরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। এমনকি লক্ষণ থাকার পরও অনেকে ইচ্ছেকৃতভাবে নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় না। চিকিৎসকরা বলছেন, সামাজিক অসচেতনতা ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের (ফুসফুসের যক্ষ্মা) অবাধ চলাফেরার কারণে যক্ষ্মা নির্মূল অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে চা শ্রমিক ও হাওরাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে যক্ষ্মা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে না পারায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন এই রোগ। অবশ্য যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রিভেন্টিভ ট্রিটমেন্টের আওতায় আনার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যার কারণে যক্ষ্মা থেকে সুস্থ হওয়ার শতকরা হার গড়ে ৯৫ শতাংশের ওপরে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, সিলেটে ২০২৪ সালে যক্ষ্মা আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন ২২,০২২জন। এর আগের বছর ২০২৩ সালে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২,৮৫২জন আর ২০২২ সালে ছিল ২২,২০৭জন। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সিলেট বিভাগের টিবি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহিদ আনোয়ার রুমি বলেন, মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক জীবাণুর সংক্রমণে যক্ষ্মা হয়। অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, পুষ্টিকর খাদ্য ও ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণের অভাব, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও যক্ষ্মা হয়। এছাড়া নোংরা পরিবেশ, স্যাঁতসেঁতে, আলো-বাতাসহীন পরিবেশেও রোগটির প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত-তিন সপ্তাহের বেশি কাশি, জ্বর, কাশির সঙ্গে কফ এবং রক্ত যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষ্মার প্রধান উপসর্গ। এছাড়াও ফুসফুসের বাইরের যক্ষ্মায়ও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে ১টি বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ৩টি যক্ষ্মা ক্লিনিক ও সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে যক্ষ্মার নমুনা পরীক্ষা ও রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যক্ষ্মা নির্ণয়ের জন্য ৪৫টি জিন এক্সপার্ট মেশিন, ৫টি ট্রুন্যাট, ২০টি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে মানুষের সুবিধার্থে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় ভ্রাম্যমাণ এক্সরে মেশিন দিয়েও যক্ষ্মা পরীক্ষা করা হয়। এর বাইরে প্রত্যেক মাসে ২২ দিন বিভিন্ন উপজেলায় চা বাগান ও হাওরবেষ্টিত এলাকার গিয়ে যক্ষ্মার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিগত তিন বছরে সিলেট বিভাগে যক্ষ্মা আক্রান্তের চিত্র : ২০২২ সালে সিলেট জেলায় ১৯,৩৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭,৬৮৯ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শিশু রয়েছে ৪১৬ জন। একই বছরে মৌলভীবাজার জেলায় ৯১,৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫৭২ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৩৪ জন শিশু রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় ১১,৬৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫,৮৭১ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে শিশু ৩২২ জন। তাছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ১১৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০৭৫ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু রয়েছে। ২০২৩ সালে সিলেট জেলায় ২৯,৮৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮,১৭৭ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শিশু রয়েছে ৭০৫ জন। ওই বছর মৌলভীবাজার জেলায় ১১,৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪,৩৫৯ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪২ জন শিশু রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় ১৫,৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫,৪৪৮ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে শিশু ৩৩১ জন। তাছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ১৪,৭৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪,৮৬৮ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২২৩ জন শিশু রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে সিলেট জেলায় ৪৪,৫৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭,৮৫৬ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শিশু রয়েছে ৭৯৮ জন। একই বছরে মৌলভীবাজার জেলায় ১৯,২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪,৩৬৫ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫২ জন শিশু রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় ২৫,৫৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫,০১৫ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে শিশু ৪০৫ জন। তাছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ২৫,০৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪,৭৮৬ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫৪ জন শিশু রয়েছে। প্রতিবছর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের যক্ষ্মা : ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে ১১৫৪ জন শিশু যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৪১৬ জন, মৌলভীবাজার জেলায় ২৩৪ জন, হবিগঞ্জে ৩২২ জন ও সুনামগঞ্জে ১৮২ জন। যা ওই বছরে মোট আক্রান্তদের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩ সালে সিলেট বিভাগে শিশু যক্ষ্মা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০১ জনে। তাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৭০৫ জন, মৌলভীবাজার জেলায় ৩৪২ জন, হবিগঞ্জে ৩৩১ জন ও সুনামগঞ্জে ২২৩ জন। যা ওই বছরে মোট আক্রান্তদের ৭ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৪ সালে শিশু যক্ষ্মা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯০৯ জনে। তাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৭৯৮ জন, মৌলভীবাজার জেলায় ৩৫২ জন, হবিগঞ্জে ৪০৫ জন ও সুনামগঞ্জে ৩৫৪ জন। যা ওই বছরে মোট আক্রান্তদের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বাড়ছে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও : যক্ষ্মার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (এমডিআর) বা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা। সিলেট বিভাগে এ ধরনের যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে এমডিআর টিবিতে আক্রান্ত ছিলেন ১২৪ জন। এরমধ্যে সিলেটে ৬১ জন, মৌলভীবাজারে ২৪ জন, হবিগঞ্জে ১৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২৫ জন। ২০২৩ সালে সিলেট বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৭৫ জন, মৌলভীবাজারে ৪৭ জন, হবিগঞ্জে ৪১ জন ও সুনামগঞ্জে ৫৬ জন। তাছাড়া সর্বশেষ ২০২৪ সালে এমডিআর টিবি আক্রান্ত ছিলেন ১১৮ জন। তার মধ্যে সিলেটে ৪২ জন, মৌলভীবাজারে ২৬ জন, হবিগঞ্জে ২৭ জন ও সুনামগঞ্জে ২৩ জন। এ বছর নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে প্রিভেনটিভ ট্রিটমেন্ট কার্যক্রম : ফুসফুসে যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদেরও প্রিভেনটিভ ট্রিটমেন্টের আওতায় এনে চিকিৎসা দিচ্ছে সরকার। অবশ্য মানুষের অনাগ্রহের কারণে এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে যক্ষ্মা নিরোধ সংশ্লিষ্টদের। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্যমতে সিলেটে তিন বছরে ৪৫,৯১৮ জনকে প্রিভেনটিভ ট্রিটমেন্টের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এনটিসিপির পরিসংখ্যান মতে, ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে ২১,৫৩৯ জনকে প্রিভেনটিভ ট্রিটমেন্টের আওতায় আনা হয়েছিল। পরের বছর তা কমে দাঁড়ায় ১৩,৬২৫ জনে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে সিলেট বিভাগে প্রিভেনটিভ ট্রিটমেন্টের আওতায় ছিলেন ১০,৭৫৪ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলায় ৩,৯৬০ জন, মৌলভীবাজারে ১,৬৫৬ জন, হবিগঞ্জে ২,২৮৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২,৮৫৪ জন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স